কলকাতা হাইকোর্টের বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চ নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে স্কুল সার্ভিস কমিশনের 2016 নিয়োগ প্যানেল বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছে। এর ফলে মোট ২৬ হাজার লোক চাকরি হারিয়েছে। এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গেলেও খুব একটা স্বস্তি পাননি তিনি। হাইকোর্টের রায় স্থগিতের আদেশ সুপ্রিম কোর্টে আসেনি। পরবর্তী শুনানি আগামী সোমবার।
কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে চাকরি গিয়েছে, স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে বাড়ি ফিরে আরও বিপদে পড়লেন চাকরিহারা এক শিক্ষক। চাকরিস্থলে ভাড়া ঘরে থাকতেন সাগ্নিক জানা নামে ওই শিক্ষক। কিন্তু এখন চাকরি নেই দেখে বাড়িওয়ালা ঘর ছেড়ে দিতে বলেছেন। চাকরিহারা শিক্ষক এখন ঘরভাড়া ছেড়ে স্ত্রী ছোট্ট শিশুকে নিয়ে বাড়ি ফিরে আসলে তার বাবা বাড়িতে ঢুকতে দিচ্ছে না বলে অভিযোগ সামনে এসেছে। পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরি দু'নম্বর ব্লকের মাকলাসি গ্রামের ঘটনা।
জানা গেছে, সাগ্নিক বছর চারেক আগে এক দুস্থ পরিবারের মেয়ে নিবেদিতাকে বিয়ে করায় সাগ্নিক এর বাবা বীরেন্দ্রনাথ জানা পুত্রবধূকে মেনে নিতে রাজি হয়নি। শুধু তাই নয় বাড়িতেও তুলেছিলেন না। সেই থেকে ঘর ভাড়া নিয়ে ঘাটালে শিক্ষকতার সূত্রে থাকতেন। বাবা বীরেন্দ্রনাথ জানা অবসরপ্রাপ্ত হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক।
আরও পড়ুন- দ্বিতীয় হয়েও মেলেনি শিক্ষক পদে চাকরি স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগে দুর্নীতির ছায়া!
এই বিষয়ে চাকরিহারা শিক্ষক সাগ্নিক জানা বলেন, বাবার সঙ্গে আমার একটা সমস্যা ছিল। বিয়ে নিয়েই সমস্যা। বাবা আমার বিয়ে মেনে নেয়নি। গত ৪ বছর আমি বিভিন্নভাবে বাবাকে বোঝানোর চেষ্টা করছি। উনি বোঝেননি। আত্মীয়সজনকে দিয়েও বোঝানোর চেষ্টা করেছি। উনি কোনও ভাবেই বোঝেননি। বহুদিন পরে আমি বাড়ি ফিরেছি।
ঘরে এলে উনি আমার সঙ্গে মিস বিহেভ করেন। এতদিন চাকরি করার জায়গাতেই ছিলাম। হাইকোর্টের নির্দেশে রাজ্যের ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি গিয়েছে। আমারাও চাকরি চলে গিয়েছে। এখন ফিরে এসে বাবার হাতে পায়ে ধরে বলি। কিন্তু উনি কোনওভাবে বুঝতে চালনি। গ্রাম বাসীদের সহায়তায় আমি ঘরে ঢুকতে পেরেছি। এখন বাবা আমাকে হুমকি দিচ্ছেন।